ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?2022

ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা কিভাবে তুলতে হয়?

How to withdraw freelancing money?

যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে এবং যারা নতুন নতুন ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে চায় তাদের হয়তো মনে প্রশ্ন আসে ফ্রিল্যান্সিং এর টাকা হাতে কিভাবে আসবে। এই প্রশ্নটিই আসলেই গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করে শেষ পর্যন্ত হাতে টাকা আনতে না পারেন তাহলে ফ্রিল্যান্সিংয়ের গুরুত্বটাই কি? তাহলে চলুন জেনে নেই কিভাবে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের টাকা হাত পর্যন্ত নিয়ে আসে।


ফ্রিল্যান্সিং (freelancing)এর টাকা হাত পর্যন্ত কিভাবে আনবো?

দেখুন আমাদের অনেকের মাঝেই একটি ভুল ধারণা রয়েছে যে ফ্রিল্যান্সিং(Freelancing)হয়তো কোন অফিশিয়াল কাজ নয়। কিন্তু মনে রাখবেন ফ্রিল্যান্সিং ও একটি কাজ যেমন সাধারণ কাজ হয়। ধরুন আপনি একজন এর অধীনে কাজ করছেন তখন আপনাকে টাকা কে দেবে? নিশ্চয়ই আপনি যার কাজ করেছেন সেই আপনাকে টাকা দেবে। এই টাকা আপনাকে হাতে হাতে দিয়ে দেয়। কিন্তু ইস্! ফ্রিল্যান্সিংয়ে তো হাতে হাতে টাকা পাওয়ার সুযোগ নেই। তাই তাদের টাকা একটি টাকা পাঠানোর মাধ্যম  এর মাধ্যমে পাঠানো হয়। যেমন সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ হচ্ছে বিকাশ। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের টাকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বিকাশের মাধ্যমে পাঠাতে পারে। কিন্তু খেয়াল করুন বিকাশে(bkash)টাকা পাঠানোর জন্য একটি শর্ত আছে। যে টাকা গ্রহণ করবে তার কাছে যেমন বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে তেমনি যে টাকা পাঠাবে তার কাছে বিকাশ একাউন্ট থাকতে হবে। কিন্তু বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদের টাকা আছে দেশের বাইরে থেকে। আর দেশের বাইরে তো বিকাশ কাজ করে না। তাহলে বিকাশ এর বদলী ফ্রিল্যান্সাররা কি ব্যবহার করে? বিকাশ এর মতো আরো টাকা পাঠানোর বা টাকা লেনদেন করার মাধ্যম রয়েছে। যেমনঃ
[ এখানে অনেকগুলো টাকা লেনদেন ব্যবস্থার নাম বলা হবে]
  1. Payeer
  2. PayPal
  3. Webmoney
  4. QiWi
  5. Yominey
  6. Perfectmoney
  7. Coinbase
  8. Paytm
  9. Payoneer
  10. Skrill
ইত্যাদি এগুলোর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা(freelancer) তাদের টাকা লেনদেন করে। এগুলো বেশিরভাগ নিরাপদ হয়ে থাকে। এই সকল মানি ট্রান্সফার সিস্টেম সম্পর্কে সংক্ষেপে জেনে নেই।
Payeer
এটি খুলতে একটি জিমেইল ই যথেষ্ট। এতে বিভিন্ন ধরনের কারেন্সি যেমনঃ USD, RUB, €, BTC,ETH ইত্যাদি লেনদেনের ব্যবস্থা দেয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি লেনদেন করা অবৈধ বলে এটি না করাই ভালো।
PayPal 
বাংলাদেশে বর্তমানে ব্যবস্থাটি চালু হয়নি। আশা করা যায় খুব শীঘ্রই চালু হয়ে যাবে।
Webmoney
এটিতে খুব সহজে লেনদেন করা যায় এবং এটি ব্যবহার করা ও নিরাপদ। একাউন্ট খুলতে একটি মোবাইল নম্বরের প্রয়োজন হয়। তাছাড়া বিভিন্ন ধরনের কারেন্সি যেমনঃUSD, RUB ইত্যাদি লেনদেনের ব্যবস্থা রয়েছে।
Qiwi
এটি সাধারণত রাশিয়ানরা ব্যবহার করে থাকে কিন্তু বাংলাদেশের ব্যবহার করা অতোটা উপযোগী নয়।
Yomoney
এটাই সম্ভবত ইন্টেক্স কোম্পানির একটি সিস্টেম। এদের সম্ভবত বিভিন্ন ধরনের কারেন্সি লেনদেন করা সম্ভব।
perfect moneyy
বর্তমান যুগের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ একাউন্ট। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন কারেন্সি যেমনঃ USD $,€ ইত্যাদি লেনদেন করতে পারবেন। তাছাড়া এটির গুরুত্ব অনেক বেশি।
Coinbase
এটি সাধারণত ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং টোকন লেনদেনের ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশে কেষ্ট কারেন্সি অবৈধ বলে এটি ব্যবহার না করাই উত্তম।
Paytm
সাধারণত ইন্ডিয়ার জনগণ এই কারেন্সি সিস্টেম ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে এর অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব নয় তাই বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত এটি ব্যবহার করে না।
Payoneer
সবচেয়ে আস্থাযোগ্য একটি লেনদেন ব্যবস্থা বলা যায়। বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সাররা এটি ব্যবহার করে থাকে। তাই এটি বর্তমান যুগের গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক লেনদেন ব্যবস্থা। বাংলাদেশ থেকে এর অ্যাকাউন্ট খোলা সম্ভব।
Skrill
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে আপনি অর্থ লেনদেন করতে পারবেন। এটি খুলতে সাধারণত একটি জিমেইল একাউন্টের প্রয়োজন হয়। বাংলাদেশ এই অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে।

সাধারণত এই সকল মানি ট্রান্সফার সিস্টেম(Money transfer system ( যারা ফ্রিল্যান্স তাদের টাকা দেশে আনে বা এককথায় তাদের হাত পর্যন্ত নিয়ে আসে। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হন তবে এই সকল মানি ট্রান্সফার সিস্টেম আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
Post a Comment (0)
Previous Post Next Post